প্রতি বছর ৩ ডিসেম্বর পালিত হয় আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস। সেই ১৯৯২ সাল থেকে।
হোয়াইট হাউজে কাল হয়ে গেল এ বিষয়ে ওবামার শেষ বক্তব্য।
পৃথিবীর ১৫% মানুষ নাকি প্রতিবন্ধী হিসেবে নিবন্ধিত। কিন্তু অনিবন্ধিত অবস্থায় না জানে কত হাজার প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বেঁচে আছে।
আমরা অনেকেই হয়ত এমন অনেক প্রতিবেশী পেয়েছি, যেখানে বছরের পর বছর তারা ঘরের প্রতিবন্ধী সন্তানটিকে লুকিয়ে গিয়েছেন সাফল্যের সাথে। আমরা কখনই টের পাইনি, হোক ঈদ-পূজা কিংবা জন্মদিন। হঠাৎ একদিন হয়ত ভুমিকম্পের সময় তাকে বের করে আনা হয়েছে। ফেলে রেখে আসাটাও আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপটে খুবই সম্ভব।
আমরা প্রত্যেকে প্রত্যেকের থেকে ভিন্ন। তবে কিছু ভিন্নতা আমাদের চোখে স্বাভাবিক, কিছু অস্বাভাবিক, আর কিছু চক্ষুশূল।
কিন্তু কেন?
প্রতিবন্ধী শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ “প্রতিবন্ধকতার স্বীকার”। অর্থাৎ, যে বা যাদের জীবন বিবিধ প্রতিবন্ধকতার স্বীকার, তাকে বা তাদের প্রতিবন্ধী বলে।
একটু ভিন্ন সংজ্ঞা নিয়ে চিন্তা করি চলুন।
“মানবসৃষ্ট সমাজ কতৃক প্রকৃত মানব বৈচিত্র ধারণ করবার যে অক্ষমতা, তাকে প্রতিবন্ধীত্ব বলে, আর এর প্রত্যক্ষ স্বীকার যে মানবগোষ্ঠী, তাদের প্রতীবন্ধী বলে।”
প্রতিবন্ধীর প্রচলিত সংজ্ঞাটি এমন হলে কেমন হত?
নাহ সব দোষ আমাদের ঘাড়ে চলে আসত। নিজেদের মধ্যে ভিন্নতা তথা বৈচিত্র্য ধারণে আমরা বরাবরই অক্ষম এবং উদাসীন।
তাই সমাজ (তথা আমরা) বারবারই কতিপয় বিশেষ গোষ্ঠীকে বিভিন্ন নামের ট্যাগ পড়িয়ে মূলধারার জনজীবন থেকে আলাদা করে থাকে।
এমনই এক গোষ্ঠী সমাজে প্রতিবন্ধী, বা বর্তমানে বিশেষভাবে সক্ষম হিসেবে পরিচিত।
প্রতিটি বিষয়ে কার্যকরী আলোচনা শুরু হয় সংজ্ঞায়নের মধ্য দিয়ে। পুরো সপ্তাহ জুড়ে এই বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে আরও লেখা প্রকাশিত হবে। পড়তে চাইলে সাবস্ক্রাইব করতে পারেন আপনার ব্র্যাক ইমেইলের মাধ্যমে।
ধারাবাহিকের শুরুটা তাই সংজ্ঞায়ন দিয়েই।
আপনি কিভাবে সংজ্ঞায়িত করবেন তাদের?
নিচে আপনার মতামত জানিয়ে দিতে পারেন।