ইনোভেশন আড্ডা যখন বরিশালে…

সোশ্যাল ইনোভেশন ল্যাব বছরে ৪ টি ইনোভেশন আড্ডা করে।

এই আড্ডার উদ্দেশ্য খুব সহজ।

চার দশক আগের ব্র্যাক বিকালে চা খেতে খেতে আলাপ করত। ব্র্যাক কর্মী মাত্রই ব্র্যাক কর্মী, হেড অফিস আর ফিল্ডকর্মী বলতে আলাদা করার প্রয়োজন পড়ত না। দিন শেষে সবাই সবার অভিজ্ঞতা জানতে পারত, কারো ভুল হলে সেই ভুল থেকে সবাই শিখত, কেউ কোন সমস্যায় আটকে গেলে সবাই মিলে সমাধান করে ফেলা যেত।

ব্র্যাক এখন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এনজিও।

বলা হয় ব্র্যাক যে পরিমাণ মানুষকে সেবা দিয়েছে, সেই সংখ্যাটা যুক্তরাজ্যের জনসংখ্যার দ্বিগুন।

এই বিশাল ব্র্যাক আজ এক বিস্ময়।

ব্র্যাক যত বড় হল, শরীরের সাথে মাথার দুরত্ব তত বাড়ল।ইনোভেশন আড্ডা সেই বিকালের চা পর্বের আলাপচারিতার ফযিলত ফিরিয়ে আনতে চায়। বছরের বিশেষ কিছু দিনে আমরা জড় হই এবং সবাই মিলে গল্প করি সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে সাপোর্ট স্টাফদের সাথে, মাটিতে বসে, চা-বিস্কট-চানাচুর খেতে খেতে, কখনও হেড অফিসে, কখনও ফিল্ডে।

বছরের চতুর্থ আড্ডা বসে সেপ্টেমবরের ২৯ তারিখ, বরিশাল বিএলসি তে। আমাদের সাথে যোগ দেন বরিশালের মাঠকর্মীরা। ডিবিআর থেকে শুরু করে সাপোর্ট স্টাফ। জমিয়ে আড্ডা হল।

উঠে আসল তাদের চোখে ব্র্যাকের পথচলা, তাদের ভালোলাগা, তাদের সংশয়গুলো। নারীকর্মীরা বেশ অনেকক্ষণ ধরে বললেন নারী সমাজকর্মী হিসেবে তাদের সংগ্রাম।

এমন অনেক কিছু এল যেগুলো কখনো কোন ফরমাল মিটিং এ হয়তো শেয়ার করা যাবেনা। অনেকে প্রথমে সংকোচ করলেন, কিন্তু পরিবেশটা এতটাই আপন, অবশেষে সবাই যোগ দিয়ে ফেললেন।

ফিরে আসার সময় তারা আমাদের অনেক করে ধন্যবাদ দিয়েছিলেন। আমরাও দিলাম। প্রাপ্তির ঝুলিটা আমাদেরও বেশ ভারী।

 

We’ll send you a weekly dose of inspiration.
Just about the right amount, not more.

Scroll Down and Subscribe!

Masrura Oishi is an over-thinker and procaffeinator. In her free time, she pretends to be a philosopher and does some development work for BRAC Social Innovation Lab. She invests her insulin pumped energy into reading, writing, traveling and living!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *